
📰 Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
উত্তপ্ত মণিপুর: ৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি
ভারতের মণিপুর রাজ্যে আবারও অশান্তি দেখা দিয়েছে। শনিবার (৭ জুন) রাতে মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে আরমবাই তেঙ্গোল (এটি) গোষ্ঠীর কথিত ‘আর্মি চিফ’ কানন মেইতেইকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থোউবল, ইম্ফল ইস্ট ও ইম্ফল ওয়েস্ট—এই পাঁচ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাত থেকে জারি হওয়া কারফিউতে চারজন বা তার বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এই পাঁচ জেলায় পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইম্ফল ওয়েস্ট থেকে গ্রেপ্তার হন কানন মেইতেই। এর পরপরই শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ পুলিশের গাড়িবহর ঘেরাও করে কানন মেইতেইকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায়।
প্রসঙ্গত, আরমবাই তেঙ্গোল একটি সশস্ত্র মেইতেই চরমপন্থি গোষ্ঠী, যা ২০২৩ সালের মে মাস থেকে রাজ্যে শুরু হওয়া কুকি-জো ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষের সময় বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
থোউবল জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক আদেশে জানান, ইম্ফল ওয়েস্টে কানন মেইতেইকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় থোউবলে বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জেলার মধ্যে চারজন বা ততোধিক মানুষের জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র, তরবারি, লাঠি, পাথর ও অন্যান্য অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ইম্ফলের বাকি তিন জেলায়ও জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে শুরু হওয়া কুকি-জো ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। সহিংসতা ও পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যেই অন্তত দুটি মামলা করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট | ঢাকা