
- channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
- ইয়াছিন খাইরুল্লাহ
- আজকের এই দিনে ২০২১ সালে রাষ্ট্র*দ্রোহি পাহাড়ি স*ন্ত্রা*সী*দের হাতে নির্মমভাবে শ*হীদ হোন নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা রহঃ। শ*হীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা রহঃ ২০১৪ সালে এ অধমের হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আলহামদুলিল্লাহ। এরপর থেকে নানান প্রতিকূল মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে! কিন্তু কখনো কোন মূল্যেই নিজের ঈমান-ইসলাম থেকে পিঁছু হটেননি এ অধম্য সাহসী মানুষটি! যিনি ছিলেন ওমর ফারুক রাঃ এর প্রকৃত উত্তরসূরী! ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর ইসলামকে প্রচার প্রসার করা যিনি নিজের গুরুদায়িত্ব হিসেবে নিয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০’টি পরিবারকে ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে নিয়ে এসেছিলেন। যারফলে টার্গেটে পরিনত হয় রাষ্ট্র*দ্রোহি পাহাড়ি স*ন্ত্রা*সী*দের! তিনি নিজের জান কুরবান করেছেন কিন্তু ইসলামের দাওয়াত থেকে পিঁছু হটেননি!.যখন রিমান্ডে আমাকে বলা হচ্ছিল আমিই নাকি তাঁর খু*নি! তখন নিজের বিতরটা কষ্টে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো! একদিকে ভাইকে হারানোর ব্যাথা অন্যদিকে তাঁর খু*নের দায় আমার উপরেই চাপানো! এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার নামান্তর! তাদের যুক্তি হলো আমি কেন তাঁকে মুসলিম বানিয়েছি? আজ মুসলিম হওয়ার জন্যই তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে! অতএব আমার জন্যই সে খুন হয়েছে! আসতাগফিরুল্লাহ্, কতবড় আহাম্মক হলে এমন কথা বলতে পারে!
নির্মল হাসি আর কপালে ভাঁজ পড়া অকৃত্রিম চাহনির এক অনন্য দাঈ- শহীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা। তার দাওয়াতের ভিশন, মিশন, কর্মতৎপরতা একজন ব্যক্তি থেকে রীতিমত একটি আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছিল। তিনি শুধুমাত্র একজন হাস্যজ্জল ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন পাহাড়ের সেই অন্ধকারের আলোকবর্তিকা।যিনি ২০২১ সালের আজকের দিনে শহীদ হয়েছিলেন পাহাড়ে ইসলাম প্রচারের জন্য, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল লিখন থেকে শ’হীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের বিচারচেয়ে আঁকা লেখাটি মুছে দিয়েছে ‘ছাত্র ইউনিয়ন’