
channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলফাজের বিরুদ্ধে খুনের পরোয়ানা; তবু প্রকাশ্যে দাপট, এক বছরেও গ্রেপ্তার হয়নি/
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় খেলার ট্রাফ নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও মূল আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে চান্দগাঁও থানাধীন চাইনাতলির পশ্চিমে ফরিদা পুকুরপার এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের উদ্দিন বাবু (২৫) ছুরিকাঘাতে নিহত হন। অভিযোগ অনুযায়ী, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আলফাজ এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বদানকারী। হত্যার পরপরই আলফাজ উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেলেও আদালতের শর্ত অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেনি।
এ কারণে নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।কিন্তু পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও আলফাজ চান্দগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছাত্রদল এ ঘটনায় কোনো সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়নি, বরং নীরব ভূমিকা পালন করছে।বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আলফাজ চান্দগাঁও থানার রিয়াজ উদ্দিন উকিল বাড়ির শফিউল আলমের ছেলে। তার বড় ভাই নাছির উদ্দিন রাব্বানী- শোভন কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন,এবং দীর্ঘদিন চান্দগাও থানা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বড় ভাইয়ের প্রভাবকে পুঁজি করে আলফাজ এলাকায় একের পর এক দখল, চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাত।বর্তমানে নাছির উদ্দিন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় কারাগারে আছেন।
তাকে মুক্ত করতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা তদবির করছেন বলেও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।এদিকে বাবু হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্তিতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “একটি স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ, অসংখ্য সাক্ষী ও তথ্য থাকার পরও মূল আসামি আলফাজ আজও ধরা পড়ছে না, এটি শুধু আইনের ব্যর্থতা নয়, বরং ক্ষমতার ছত্রছায়ার নগ্ন উদাহরণ।”এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে ৩ নম্বর আসামি আলফাজসহ অনেকেই এখনো অধরা রয়েছে, যা এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
।