আজ বুধবার ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে সংখ্যালঘু নিপীড়ন—শিশু-কিশোরের ওপরও থামছে না হিন্দুত্ববাদী বর্বরতা


Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
ভারতে সংখ্যালঘু নিপীড়ন—শিশু-কিশোরের ওপরও থামছে না হিন্দুত্ববাদী বর্বরতা

উত্তর প্রদেশ—ভারতের কানপুরের সারসৌল এলাকায় ১৩ বছরের এক মুসলিম কিশোরের ওপর যে বর্বর হামলা চালানো হয়েছে, তা শুধু একটি শিশুর উপর সহিংসতা নয়—বরং এটি গোটা সমাজের বিবেককে কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমবয়সী কয়েকজন উগ্র হিন্দুত্ববাদী কিশোর তাকে ঘিরে ধরে। তারা মাথা নিচু করে তাদের পা ছুঁতে বলে, যা অপমানজনক এক আচরণ। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মুসলিম কিশোরটি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য জোর করা হয়। সে প্রত্যাখ্যান করলে তাকে মারধর করা হয় এবং ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে স্ট্যাব করা হয় তিনবার। এমনকি পায়ে কাঁচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সে আজ চলাফেরার ক্ষমতাও হারাতে বসেছে

একই দিনে, আরেক পাশের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ভোরাম পয়াস্তি গ্রামে।
২৪ বছরের জাহানুর হক—এক নিরীহ গ্রামবাসী, যাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF-এর কোম্পানি কমান্ডার বলবন্ত নির্মমভাবে হত্যা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তারপর বুকের উপর পা দিয়ে কোমরের দিকে গুলি করা হয়। অপর একজন মাথায় গুলি করে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায়। হত্যার আগে তার লুঙ্গি খুলে তার ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এরপর ছয় ঘণ্টা ধরে তার মরদেহ পড়ে থাকে, কেউ ছুঁতেও সাহস পায়নি।

এই প্রতিটি ঘটনা—ভারতের একটি ভয়ঙ্কর বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসে।

একটি রাষ্ট্র যখন অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে, সংখ্যালঘুদের বাস অসম্ভব হয়ে যায়
যখন শিশু-কিশোরেরাও সাম্প্রদায়িক বিষে উন্মত্ত হয়ে উঠে, তখন বুঝতে হয়— সামাজিক কাঠামোটা গভীর রোগে আক্রান্ত

আর তখনই সামনে আসে এক গভীর বেদনাময় চরণ:

“লস্কর ভি তুমহারা হ্যায়, সরদার ভি তুমহারা হ্যায়
তুম ঝুট কো সাচ লিখ দো, আখবার ভি তুমহারা হ্যায়।”

Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
সত্যের পক্ষে, মানবতার পাশে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *