আজ সোমবার ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিজোরামে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি—বাংলাদেশকে নিশানা করার কৌশলী ঘেরাও?

Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
মিজোরামে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি—বাংলাদেশকে নিশানা করার কৌশলী ঘেরাও?

ঢাকা, ১৭ এপ্রিল —
ভারতের মিজোরাম রাজ্যে, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক সামরিক ঘাঁটি। নামমাত্র মিয়ানমারের অজুহাত দেখালেও, সামরিক বিশ্লেষকদের মতে এই ঘাঁটির মূল লক্ষ্য ‘ইস্টার্ন কমান্ড’-এর সক্ষমতা বাড়ানো নয়—বরং বাংলাদেশের প্রতি এক ধরনের কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য।

এই সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে ‘Su-30MKI’ যুদ্ধবিমান, যা সজ্জিত করা হয়েছে নতুন প্রজন্মের ‘গৌরব’ গ্লাইড বোমা দিয়ে। এসব বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। ঘাঁটিতে যুক্ত হচ্ছে নজরদারি ড্রোন, মাল্টিপল রকেট লঞ্চার এবং উন্নতমানের রাডার ব্যবস্থা—যা পুরো বাংলাদেশের ওপর নজরদারি সক্ষমতা তৈরি করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিজোরামের এই বেস থেকে মাত্র ৩০ মিনিটেই ভারতের ফাইটার জেট ঢাকায় পৌঁছে যেতে পারবে, কোনো বাধা ছাড়াই। প্রশ্ন উঠছে—যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক “বন্ধুত্বপূর্ণ” বলে দাবি করা হয়, সেখানে কেন এমন ভয়াবহ সামরিক প্রস্তুতি?

এই ঘাঁটির প্রেক্ষাপট আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে যখন ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ভৌগোলিক ও ধর্মীয় বিভাজনকে ‘ভবিষ্যৎ কনফ্লিক্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে করে অনেকে ২০০১ সালের সেই ভয়াবহ ‘অপারেশন বাজর’-এর কথা মনে করছেন, যখন সীমান্তে ১৬ জন বিডিআর সদস্যকে হত্যা করেছিল ভারতীয় বাহিনী।

এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশ নববর্ষ উদযাপনে ব্যস্ত, ভারতীয় সামরিক বাহিনী নিরবেই সাজাচ্ছে কৌশলগত ঘেরাও।
এটা সরাসরি যুদ্ধ নয়—এটা ‘সাইলেন্ট ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’, যেখানে আমরা হাসি মুখে চোখ বন্ধ করি, আর তারা চোখ খুলে টার্গেট ঠিক করে।

Channel IR ডেস্ক
সচেতন থাকুন, সংযুক্ত থাকুন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *