
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৩ ফিলিস্তিনি শহীদ।
গাজা, [তারিখ]: আজ ভোররাতে গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বেসামরিক বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর টার্গেটেড বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই হামলায় আরও অনেক ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো সামরিক স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের বের করে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার বিভিন্ন অংশে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, কারণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতভর ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, যার ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার এখনো নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজ করছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স ইউনিট জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকদের উদ্ধারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, দখলদার শক্তির এ ধরনের অপরাধের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তাদের মতে, ইসরায়েলি বাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা ইসরায়েলের এই নৃশংস হামলা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নেয়।
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট