
“ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ড্রোন হামলার পরপরই সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা”
বিস্তারিত: ২৩ জুন সকালে সিরিয়ার আল-হাসাকা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলার ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে ঘাঁটির দিকে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়, যার ফলে ঘাঁটির আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।ঘাঁটির নিরাপত্তা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে এবং আকাশে মার্কিন হেলিকপ্টার ও ড্রোন টহল অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার পরপরই সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো, যদিও এখনো পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন ড্রোন ইরানের ভেতরে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় টার্গেটেড স্ট্রাইক পরিচালনা করে, যাকে ওয়াশিংটন ‘প্রসারমান পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলার প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।তেহরান এই হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং পরবর্তী জবাবের ইঙ্গিত দিয়েছে।সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে গাজার ভেতর চলমান যুদ্ধ এবং বর্তমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধকে ঘিরে।ইরান-সমর্থিত হুথি, হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের স্বার্থে ধারাবাহিক হামলা অব্যাহত রয়েছে, যার অংশ হিসেবেই এই মর্টার হামলাকেও অনেকে দেখছেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন প্রতিশোধচক্রের সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে, বিশেষ করে পারমাণবিক ইস্যুতে শক্তির ভারসাম্য আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এই ব্যাপারে মার্কিন সেনাবাহিনী ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ (Syrian Democratic Forces) এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।