
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট |
হামাসের অতর্কিত হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত ১৬ — তীব্র হচ্ছে গাজ্জা সংঘাত
গাজ্জা উপত্যকায় আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে আজ বুধবার হামাসের চালানো এক অতর্কিত হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে। গাজ্জা সিটির অদূরবর্তী এলাকায় ইসরায়েলের সাঁজোয়া কনভয় লক্ষ্য করে এই অভিযান চালায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড।
চলমান আগ্রাসনের তীব্র চিত্র:
এদিকে, ইসরায়েল তাদের আগ্রাসন আরও তীব্র করেছে এবং প্রতিদিনই গাজ্জায় বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান চালাচ্ছে। আজ ভোরেও শুজাইয়া এলাকা এবং দেইর আল-বালাহতে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান, যার মধ্যে শিশু এবং ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষও ছিলেন।
সালাহউদ্দিন সড়কে ত্রাণ প্রত্যাশী মানুষের ওপর আগুন খোলেন ইসরায়েলি সেনারা, এবং নেটসারিম করিডোরে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করা ডজনখানেক যুবককে গুলি করে কূপে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এই আগ্রাসনের ফলে গাজ্জায় নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব, খাদ্য ও পানি সঙ্কট এবং চিকিৎসা সেবার অপ্রাপ্তিতে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎপরতা:
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, “গাজ্জায় ত্রাণের আশায় থাকা মানুষেরা প্রাণ হারাচ্ছেন এবং তাদের কাছে মৌলিক সেবা পৌঁছানোর কাজও আন্তর্জাতিক চাপের অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” আর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার ফিলিপ লাজারিনি গাজ্জায় ত্রাণের এই ব্যবস্থা “মর্যাদাহানিকর এবং প্রাণঘাতী” বলে মন্তব্য করে তৎক্ষণাৎ সুষ্ঠু ত্রাণ কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানিয়েছেন।
চলমান আগ্রাসন এবং প্রতিরোধের এই চক্রে গাজ্জা উপত্যকা আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবুও আগ্রাসনের মুখে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে হামাস এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সংঘাতের এই আগুন কবে থামবে তা এখনও অজানা, আর বিশ্ব কেবল চেয়ে চেয়ে মানবতার এই ট্র্যাজেডির সাক্ষী হয়ে আছে।
Channel IR
(চলমান ঘটনার আপডেট জানাতে থাকবো ইনশাআল্লাহ …)
