আজ শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোমালিয়ায় আশ শাবাবের হামলায় পশ্চিমা বাহিনীর ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি

Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
সোমালিয়ায় বীর শ| ব| ব-র আক্রমণে পশ্চিমা সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, গনিমত লাভ, ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয়

সোমালিয়া, এপ্রিল ২০২৫ – সোমালিয়ায় বীর শ| ব| ব সম্প্রতি একটি ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে, যার ফলে পশ্চিমা সন্ত্রাসী বাহিনীর – বিশেষ করে মার্কিন ও তুর্কী বাহিনীর – মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই আক্রমণে বহু সেনা নিহত ও আহত হয়েছে, এবং অনেক সেনা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছে। সোমালিয়ার ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা (আশ শাবাব) অপারেশনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গনিমত লাভ করেছে, যার মধ্যে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই অভিযানে পশ্চিমা শক্তির সহায়তায় পরিচালিত সেনাদের দুর্বলতা ও তাদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোমালিয়ার ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরও একবার তাদের শক্তি প্রমাণ করেছে। গনিমতের এই বিপুল পরিমাণে লাভ, তাদের সামরিক সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যা ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোমালিয়ায় পশ্চিমাদের দখলদারিত্বের দিন এখন শেষের দিকে। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়ায় মার্কিন ও তুর্কী বাহিনীর শাসন ও দমনপীড়নের ফলে যে অসন্তোষ ও প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে, তা এখন নিজেদের পূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষত ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয়, নিঃসন্দেহে সোমালিয়ায় নতুন একটি রাজনৈতিক ও সামরিক বাস্তবতার সূচনা করতে যাচ্ছে।

বিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা সারা বিশ্বের ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘকালীন দখলদারিত্ব, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে কেবল উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, এখন কার্যত সম্পন্ন হওয়ার পথে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে সোমালিয়ায় একটি নতুন ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অভিজ্ঞতার সাথে তুলনীয় হতে পারে।

এছাড়া, সামরিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই ধরনের সামরিক অভিযান এবং পশ্চিমা সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রমের কারণে সোমালিয়া ও বৃহত্তর আফ্রিকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তারা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, এই অভিযানের ফলে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধ আন্দোলন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এবং সোমালিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশল প্রয়োজন।

বিশ্বের সামরিক ও কূটনৈতিক মহলে এই পরিস্থিতি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। পশ্চিমা শক্তির সামরিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শিগগিরই পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ সোমালিয়ার ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় একদিকে যেমন তাদের নৈতিক বিজয়ের প্রতিফলন, তেমনি এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি বড় ধরনের কৌশলগত পরাজয়। সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলির পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও জটিল হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শান্তির প্রচেষ্টাকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে, এবং এই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামরিক ও কূটনৈতিক কৌশলগুলির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। সোমালিয়া এখন একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে পশ্চিমাদের দখলদারিত্বের স্থানে স্থানীয় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Spread the love

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *