আজ মঙ্গলবার ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ভোটের খাতিরে রক্ত?” – কাশ্মির হামলা নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের সন্দেহ ও ক্ষোভে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া


Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
“ভোটের খাতিরে রক্ত?” – কাশ্মির হামলা নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের সন্দেহ ও ক্ষোভে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট | চ্যানেল IR
তারিখ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মিরে সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে উঠছে এক নতুন প্রশ্ন—এই হামলা কি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী আক্রমণ, নাকি একটি রাজনৈতিক নাটক যার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল ভোট কৌশলের অংশ হিসেবে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভারতীয় নাগরিক তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার পেছনের ‘বাস্তব চিত্র’ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

১. “আমরাই বলির পাঁঠা?”
Aswiai Das নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন:

“সতিই হিন্দু খতমে মেহে… হিন্দু তো ভোট পাওয়ার জন্য আমাদেরকেই কখন মেরে ফেলে।”

তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোট রাজনীতির জন্য হিন্দু জনগণকেও বলি দেওয়া হচ্ছে, এবং দোষ চাপানো হচ্ছে মুসলিমদের উপর। এতে একটি গভীর অসন্তোষ ও রাজনৈতিক ব্যবহারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

২. “পুলওয়ামার পুনরাবৃত্তি?”
Dibyendu Mondal মন্তব্য করেন:

“পুলওয়ামা attack এর মতো এটাও বিজেপির দ্বারা করানো preplanned হত্যা কাণ্ড।”

এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, অতীতের মতোই এটিও একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র যা জনগণের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়।

৩. “ঘটনাস্থলের অভ্যন্তরীণ সত্য ফাঁস”
Tarun Dutta নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন:

“প্রাণ নিয়ে সেন্ট্রাল থেকে জঙ্গু ফিরলাম… পরিকল্পিত ঘটনা।”

তিনি জানান, ঘটনাস্থলের ২০ মিটারের মধ্যে সেনা ছিল না—যা অবিশ্বাস্য এক নিরাপত্তা ফাঁক নির্দেশ করে।

তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করে Sayanta Chakraborty Rubai বলেন:

“…কাশ্মিরে ২০ মিটার দূরে দূরে army deploy থাকে না… এটা কি করে সম্ভব?”

এখানে নিরাপত্তা ঘাটতি ও পরিকল্পিত হামলার সন্দেহ আরও জোরালো হয়।

৪. “সচেতন নাগরিকদের বার্তা”
Mehabub Rabbani ও Aliya Bibi মন্তব্য করেন যে, এই সত্য কথা বলা এখনই দরকার, কারণ “পুলওয়ামার ঘটনার মতোই তৈরি সৃষ্টি”।


চ্যানেল IR-এর পর্যালোচনা:
ভারতের নাগরিকরা এখন আর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে চাইছেন না। বরং তারা প্রশ্ন করছেন, বিশ্লেষণ করছেন এবং প্রতিরোধ করছেন ‘রাষ্ট্রীয় বয়ান’-এর একচেটিয়া সত্যকে। এই সন্দেহ আর ক্ষোভই একটি সচেতন গণতান্ত্রিক সমাজের জন্ম দেয়।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *