আজ শনিবার ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙচুর ও লুটপাটের কর্মকাণ্ড ইসলামপন্থী কর্মসূচির অংশ ছিল না; আসিফ আদনান

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে কিছু এলাকায় ইসরায়েলি পণ্যের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে জনপ্রিয় ইসলামী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ আদনান জানিয়েছেন, এসব কর্মকাণ্ড ইসলামপন্থী কর্মসূচির অংশ ছিল না।

আসিফ আদনান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “যায়োনিস্টদের সমর্থন করে এমন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বর্জন এখন সময়ের দাবি। বিশ্বজুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই বয়কট আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশেও এখন গোছানো, লক্ষ্যভিত্তিক বয়কট কর্মসূচি শুরু করা দরকার।”

তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, বয়কট ও ভাঙচুর—এই দুটি পন্থা একে অপরের পরিপন্থী। “কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোক-পেপসি বিক্রি করছে, তাই সেখানে গিয়ে জোরজবরদস্তি করা, হুমকি দেওয়া কিংবা বলপ্রয়োগ করা সঠিক নয়। একইভাবে কোনো আন্তর্জাতিক কোম্পানির দেশীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হামলাও যুক্তিসঙ্গত নয়,” বলেন তিনি।

বিক্ষোভের সময় ঘটে যাওয়া ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনায় ইসলামপন্থীদের দায়ী করার প্রচেষ্টাকে তিনি ‘মুখস্থ গীত’ হিসেবে আখ্যা দেন। তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এসব ঘটনায় জড়িতরা সাধারণ ছাত্র-জনতা কিংবা কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ; তারা ইসলামী পোশাকেও ছিলেন না। তিনি বলেন, “বাস্তবতা হলো, আমাদের সমাজে এমন মানুষ সব সময়ই ছিল এবং থাকবে।”

আসিফ আদনান মনে করেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। “সড়ক দুর্ঘটনার পর আহতদের ব্যাগ বা গহনা চুরি যেমন ঘটে, তেমনি এই আন্দোলনেও কিছু ব্যক্তি সুযোগ নেয়। কিন্তু তাতে পুরো আন্দোলনকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ইসলামিস্টদের ওপর দোষ চাপানো নিচু মানের গ্রাম্য রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলারদের এই ভিলেজ পলিটিক্স থেকে বের হয়ে আসা উচিত।”

সমগ্র বিবৃতিতে তিনি শান্তিপূর্ণ ও সচেতন নাগরিক আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেন এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *