
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরা: এসআই খালেদ আনোয়ারের গ্রেফতার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ডেস্ক রিপোর্ট | Channel IR
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ মুগ্ধ, তানভীন এবং উত্তরার গণহত্যাসহ একশ’র বেশি খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত এসআই খালেদ আনোয়ারের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরা। বৃহত্তর উত্তরার ছাত্র-জনতা আজ বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়ক। বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস হওয়ায় মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আটকে পড়ে উত্তরাঞ্চলগামী শত শত গণপরিবহন। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন অসুস্থ রোগী, বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং ছোট ছোট শিশুরা, যারা প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বিকেল ৫টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, যা সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে হাউজ বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মিছিলে অংশ নেন। তাঁদের প্রধান দাবি—“জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত খালেদ আনোয়ারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
একজন অভিভাবক বলেন, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে? আমরা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।”
আন্দোলনকারীরা জানান, এসআই খালেদ আনোয়ারের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে, যা সন্ধ্যার পর প্রকাশ করা হবে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকাংশই এই আন্দোলনের পাশে নেই। তবুও তারা ন্যায়ের পক্ষে রাজপথে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ চলাকালে ঘটনাস্থলে যান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “খালেদ আনোয়ারকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। যারা তাকে সাহায্য করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, ডিসি মহোদয়ও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে তাকে আইনের আওতায় আনতে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন:
- জুলাই রেভ্যুলেশন অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র ফান্তাসীর মাহমুদ
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানা আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ
- সর্দার রিয়াদ
- জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৮ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আশরাফুল হক প্রমুখ।
বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল:
- “খুনি খালেদ বাইরে কেন? প্রশাসন জবাব দে।”
- “খুনি লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।”
- “আমার সোনার বাংলায় হতে দিব না অন্যায়।”
- “পুলিশ লীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।”
- “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয় নাই যুদ্ধ!”
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যার পর শান্তিপূর্ণভাবে মহাসড়ক থেকে সরে যান।
Channel IR, ঢাকা।
শেষ।