আজ সোমবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিবাদী মোটিফের ছায়ায় বাংলা নববর্ষ: স্রষ্টা ছাড়া কোন বস্তু কি মঙ্গল দিতে পারে?


Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
তারিখ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫
ফ্যাসিবাদী মোটিফের ছায়ায় বাংলা নববর্ষ: শোভাযাত্রা কি শোষণের প্রতীক?
— নববর্ষে শিরকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সচেতন কণ্ঠ উঠে আসছে

বাংলা নববর্ষ—যেটি একসময় ছিল কৃষিভিত্তিক সমাজের ঋতুবদলের আনন্দ উৎসব, এখন যেন তা রূপ নিচ্ছে শাসকগোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডার মঞ্চে।
আজ পহেলা বৈশাখ ১৪৩২, ঢাকায় বের হয় তথাকথিত “নববর্ষ শোভাযাত্রা”—যেটি মূলত চারুকলার হাতি-মুখো, দৈত্য-দানবের প্রতীক দিয়ে সাজানো এক বিশাল শোভাযাত্রা।

কিন্তু বিশ্লেষকদের প্রশ্ন—এই শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য কী?
এটি কি সত্যিই বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে, নাকি এটা ক্ষমতাবানদের ফ্যাসিবাদী মোটিফকে বরণ করে নেওয়ার এক কৌশলী আয়োজন?

প্রতীকী চিত্রে মুখোশ, দৈত্য, রঙিন বিভ্রান্তি—এর পেছনে চাপা পড়ে যায় বাস্তব জীবনসংগ্রাম।
বিচারহীনতা, গুম-খুন, গণতন্ত্রহীনতা আর দ্রব্যমূল্যের আগুনের মধ্যে কিভাবে এতো রঙে রাঙানো উৎসব পালন সম্ভব?
সাধারণ জনগণ যখন ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামলে দমন-পীড়নের মুখে পড়ে, তখন রাষ্ট্র যখন শিশুদের খেলনাও কেড়ে নেয়, সেই রাষ্ট্রই আবার মুখোশে মুখোশে ঢেকে দেয় নিজের অমানবিকতা।

এছাড়া, নববর্ষে “পান্তা-ইলিশ”, “মঙ্গল শোভাযাত্রা”, “মঙ্গল কামনা”—এই সব অনুষঙ্গ নিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে উদ্বেগ।

ধার্মিকদের প্রশ্ন—
“আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে ‘মঙ্গল’ কামনা করা কি ঈমান-সংগত?”
“দৈত্য-দানব আকৃতির মুখোশ পরে শোভাযাত্রা কি প্রকৃত সংস্কৃতি, নাকি শিরক ও জাহেলিয়াতের আধুনিক রূপ?”

নববর্ষকে ‘নিউ ইয়ার’-এর মতো সাজিয়ে রঙিন বানানো হচ্ছে, কিন্তু ভিতরে শূন্যতা।
সংস্কৃতিকে মঞ্চ করে শোষণ, ধর্মকে দূরে ঠেলে তথাকথিত সেকুলারিজম আর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ—এই মিলেই তৈরি হয়েছে এক নতুন ‘উৎসব ফ্যাসিজম’।

সাধারণ মানুষ আজ বুঝতে শিখছে—
“শোভাযাত্রা” আর “শোভা” এক নয়।
একটা হচ্ছে সাজানো মুখোশ, অন্যটা হচ্ছে ভেতরের সত্য।

Channel IR মনে করে, সময় এসেছে এই মুখোশ সরিয়ে ফেলার, এবং প্রশ্ন করার—
নববর্ষ কীভাবে একটা শাসকগোষ্ঠীর কৌশলী নিয়ন্ত্রণের প্রতীকে পরিণত হলো?
ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করা কতটা সভ্যতা?

Channel IR | সবার কথা, সাহসের সাথে
প্রতিবেদন: ডেস্ক রিপোর্ট টিম


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *