
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
“ফাতিমা বলেছিল, ফিরে আসতে পারলে যাবো—ইসরায়েল নিশ্চিত করলো, সে আর ফিরবে না” লিখেছেন: ফারজানা মাহবুবা
তার হাসিটা যেন আলো ছড়াতো। চোখ দুটোয় ছিল একধরনের আগুন আর স্বপ্নের ঝিলিক। গাজার তরুণ ফটো জার্নালিস্ট ফাতিমা—যার ক্যামেরায় ধরা পড়তো জীবনের কষ্ট, সাহস আর প্রতিরোধ—সেই মেয়েটির গল্প এবার আর পরিণতি পেল না কান চলচ্চিত্র উৎসবে।
মাত্র দুই দিন আগেও ফাতিমা ভিডিও কলে কথা বলছিলেন একজন ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে, যিনি তাকে নিয়ে তৈরি করেছেন একটি ডকুমেন্টারী। সেই ডকুমেন্টারীটি আগামী মাসে প্রদর্শিত হওয়ার কথা বিশ্বখ্যাত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।
ভিডিও কলে ফাতিমা হাসছিলেন। সেই হাসিতে ছিলো গর্ব, স্বপ্ন আর সামান্য ভয়। তিনি বলেছিলেন,
“আমি যাবো—কিন্তু এক শর্তে। যদি ফিরে আসতে পারি গাজায়, তাহলেই।”
কিন্তু সেই ‘ফেরার’ পথটাই বন্ধ করে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ভিডিও কলের মাত্র এক ঘণ্টা পর, গাজার ওপর চালানো এক বোমা হামলায় ফাতিমা শহিদ হন। তার সঙ্গে শহিদ হন আরও নয়জন পরিবারের সদস্য।
ফাতিমার সেই হাসির ছবিটা এখন ছড়িয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সেই ছবির মানুষটি আর নেই। তার স্বপ্ন কান-এর স্ক্রিনে দেখা যাবে, কিন্তু বাস্তবে ফাতিমা সেখানে হাজির হবেন না।
এই রিপোর্টের শিরোনামটা যেন সেই মুহূর্তকে বুকে ধরে রাখে—
“ফাতিমা বলেছিল, ফিরে আসতে পারলে যাবো—ইসরায়েল নিশ্চিত করলো, সে আর ফিরবে না”
Channel IR ডেস্ক, গাজা
লেখক: ফারজানা মাহবুবা