
ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি হারুন ইজহার সম্প্রতি সামাজিক আন্দোলন ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবাদী আয়োজনগুলোতে সবসময় চৌকস স্বেচ্ছাসেবী টিম রাখা উচিত, যাতে অনুপ্রবেশকারী কুচক্রী বা অতি উৎসাহী কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে।

মুফতি ইবনে ইজহার মনে করেন, ভবিষ্যতে সচেতন সাধারণ তাওহীদবাদীদের জন্য একটি অথরিটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন, যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মিথ্যা প্রোপাগান্ডার বিপরীতে আনুষ্ঠানিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা যাবে এবং বিভিন্ন পক্ষের উদ্বেগ ও তার সমাধান পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইস্যুভিত্তিক প্রতিক্রিয়াতে সীমাবদ্ধ না থেকে বৃহত্তর গঠনমূলক এজেন্ডা গ্রহণ করা উচিত, যা প্রজন্মের আস্থা ও আকাঙ্ক্ষার নতুন ঠিকানা হিসেবে বিনির্মিত হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গীবতের দোষারোপ সমাজের একটি মানসিক অসুখ। তথাকথিত সুশীল সমাজ বিচ্ছিন্ন হঠকারিতা ও সহিংসতার দায় পুরো নিরীহ প্রজন্মের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে, যা আরেকটি পাল্টা নৈরাজ্য। এটি বন্ধ হওয়া উচিত, যাতে সামাজিক বিভেদের পথ রুদ্ধ হয়।
গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে মুফতি ইজহার বলেন, রাষ্ট্রকে পুরাতন চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসে অভিভাবকত্বের জায়গা নিতে হবে। কাজের লোকদের চিনে, মূল্যায়ন ও সমন্বয় করতে হবে।
মুফতি হারুন ইজহারের এই প্রস্তাবনাগুলো সামাজিক আন্দোলন ও নেতৃত্ব গঠনে নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান করে।