
Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
গাজায় ৫১,২০০ নিহত, ৪ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত: যুদ্ধাপরাধে মামলা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ও গালান্টের গ্রেফতার না হওয়া বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ — জাতিসংঘ
গাজার বুকে চলছে ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয়। ইসরায়েলের ১৯ মাসব্যাপী সামরিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫১,২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNRWA জানায়, গাজা উপত্যকার ১১৫টি জাতিসংঘ পরিচালিত কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।
এ পরিস্থিতিকে তারা “একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট যা প্রতিদিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে” বলে অভিহিত করেছে।
UNRWA এক বিবৃতিতে বলে,
“অবরোধ ও অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে গাজায় মানবিক ও বাণিজ্যিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না। একটি দুঃসহ সংকট আরও গভীরতর হচ্ছে।”
২ মার্চ ২০২৫ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। এতে খাদ্য, ওষুধ এবং জরুরি ত্রাণ পুরোপুরি আটকে গেছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের হামলা শুরু করে, এবং এ পর্যন্ত ১,৮২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র মার্চ মাসেই নতুন করে ৪,২০,০০০ মানুষ আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
তবে এখন পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিশ্বজুড়ে ন্যায়বিচারক মনন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলছে—
“যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মামলায় অভিযুক্তরা কীভাবে এখনও স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে?”
“জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেন চুপ?”
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (ICJ) মামলা চলমান।
বিশ্লেষকরা বলছেন,
“এটা শুধু ফিলিস্তিনের নয়, মানবতার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে না, তারা ন্যায়বিচারের পক্ষেও দাঁড়াতে পারে না।”
Channel IR ডেস্ক | সত্য বলব সাহসের সঙ্গে