
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট | রিপোর্টার: [ আরিফুল ইসলাম ]
রাফাহ শহরে ‘সিকিউরিটি জোন’ গঠনের ঘোষণা, ইসরাইলি ঔদ্ধত্যের তীব্র নিন্দা
রিপোর্ট:
হামাস নিধনের অজুহাত তুলে গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফাহকে ঘিরে নতুন দখলদার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরাইল। কথিত মোরাগ করিডোর থেকে সালাহউদ্দিন সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে সেনা নিয়ন্ত্রণে এনে সেখানে একটি “সিকিউরিটি জোন” গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী Yisrael Katz।
এই ঘোষণাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাফাহর স্থানীয় প্রশাসন। তারা বলছে, এটি সরাসরি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্বের ওপর ভয়ংকর হামলা।
একজন প্রশাসনিক মুখপাত্র বলেন, “রাফাহ শহর বর্তমানে লাখো গৃহহীন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এখানে ‘সিকিউরিটি জোন’ গড়ে তোলা মানে গণবিচ্ছিন্নতা ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের নতুন রূপ।”
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে দক্ষিণ এশিয়ার এক কল্পিত উদাহরণ টেনে অনেকে বলছেন—
যদি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করতেন, “পঞ্চগড় আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাই সেখানে আমরা একটি সিকিউরিটি করিডোর গড়বো”—তবে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া কী হতো?
এই ঘোষণা শুধু রাফাহ নয়, গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এ অঞ্চলের জনগণকে আরও হতাশ করছে।
শেষ কথা:
ইসরাইলের এই তথাকথিত ‘সিকিউরিটি জোন’ ঘোষণাকে মানবতা ও আন্তর্জাতিক ন্যায়ের ওপর সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সত্যের পক্ষে, দখলদারিত্বের বিপক্ষে।