
Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
তারিখ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫
তলোয়ার হাতে নৃত্য—মুন্সিগঞ্জে চৈত্র সংক্রান্তির নামে হিন্দুদের ‘ধর্মীয় উৎসব’ না সহিংসতার মহড়া?
মুন্সিগঞ্জের আবদুল্লাহপুরে চৈত্র সংক্রান্তির নামে অনুষ্ঠিত এক তথাকথিত ধর্মীয় উৎসবে দেখা গেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকারীদের হাতে তলোয়ার, ত্রিশূল ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র, যা নিয়ে তারা প্রকাশ্য রাস্তায় “কাছ নাচ” পরিবেশন করেছে।
তথ্যসূত্র অনুযায়ী, এই “লালকাছ” ও “নীলকাছ” নামের উৎসবে পুরুষরা শিব ও পার্বতীর লীলার অনুকরণে তলোয়ার হাতে নৃত্য করেন এবং উৎসব শেষে হয় হরগৌরী পূজা ও চরক।
প্রশ্ন উঠছে—এই তলোয়ার হাতে রাস্তায় নেমে নাচ বা মহড়া কি শুধুই ধর্মীয় সংস্কৃতি? নাকি এর পেছনে আছে এক ধরনের সহিংস প্রতীকবাদের চর্চা?
বিশ্লেষকরা বলছেন—
“যখন কোনো ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক আয়োজনে ধারালো অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া হয়, তা আর নিরীহ উৎসব থাকে না, বরং তা হয়ে ওঠে এক ধরনের ‘নরম সন্ত্রাসের’ প্রতীক। যেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে প্রতীকে, চেতনায়, সমাজে।”
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, মুসলিমদের পবিত্র দিনে শান্তিপূর্ণ জমায়েতে কোথাও প্ল্যাকার্ড উঠলেও সেটাকে রাষ্ট্র ‘উগ্রতা’ হিসেবে দেখায়, অথচ ধারালো তলোয়ার হাতে প্রকাশ্যে মহড়া হয়—কোনো প্রশ্ন হয় না, কোনো নিন্দা নেই!
এটা কি ধর্মনিরপেক্ষতা? নাকি পক্ষপাতদুষ্ট এক সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের অনুমোদন?
দেশের কিছু সচেতন নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন—
“একটা মুসলিম শিশু যদি খেলনা বন্দুক নেড়ে থাকে, সেটা নিয়ে গণমাধ্যমে ঝড় ওঠে, অথচ একদল মানুষ তলোয়ার হাতে রাস্তায় নাচে, সেটা হয়ে যায় ধর্মীয় ঐতিহ্য?”
Channel IR মনে করে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতির স্বার্থে এমন অস্ত্রধারী উৎসব ও তার প্রতীক নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
ধর্মীয় উৎসবের নামে তলোয়ার নিয়ে নৃত্য শুধু ভয়ংকর বার্তা দেয় না, বরং এটি ভবিষ্যতে সহিংসতা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রও তৈরি করে।
সংস্কৃতি ভালোবাসার, সহিংসতা নয়। ধর্ম হোক আত্মশুদ্ধির, অস্ত্রের নয়।
Channel IR | সবার কথা, সাহসের সাথে
প্রতিবেদন: ডেস্ক রিপোর্ট টিম