আজ রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাযায় শহীদ প্রায় ১৮,০০০ শিশু, এতিম ৪০,০০০—অবরুদ্ধ জনপদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।

গাযায় শহীদ প্রায় ১৮,০০০ শিশু, এতিম ৪০,০০০—অবরুদ্ধ জনপদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে

Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট

ফিলিস্তিনের গাযা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলায় হাজার হাজার শিশু শাহাদাত বরণ করেছে, আহত হয়েছে লক্ষাধিক, আর পুরো অঞ্চলটি চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, টানা ৫৩৪ দিনের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১৭,৯৫৪ শিশু শাহাদাত বরণ করেছে, যাদের মধ্যে ২৭৪ নবজাতক ও এক বছরের কম বয়সী ৮৭৬ শিশু রয়েছে।

শুধু শাহাদাত বরণই নয়, হাজার হাজার শিশু তাদের বাবা-মা ও স্বজনদের হারিয়ে এতিম হয়ে পড়েছে। ৩৯,৩৮৪ শিশু এখন সম্পূর্ণ অভিভাবকহীন, যারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনাহার, নিরাপত্তাহীনতা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে এই শিশুরা প্রতিনিয়ত মৃত্যু আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাযা

অবরুদ্ধ গাযায় ইসরায়েলি হামলায় এক দশকের বেশি সময়ের উন্নয়ন ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী,

  • প্রায় ৭০% ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে,
  • বেশিরভাগ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র অকার্যকর,
  • বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত,
  • ৯০% জনগণ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে

এদের কী অপরাধ ছিল?

শাহাদাত বরণকারী ও আহতদের বেশিরভাগই শিশু ও বেসামরিক নাগরিক। গাযার সাধারণ জনগণের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই, নেই মৌলিক মানবিক সহায়তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলতে থাকলে, গাযার ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।

বিশ্ববাসীর চোখের সামনে গাযার মানুষ নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই শিশুদের অপরাধ কী ছিল? তারা কেন নিজের মাতৃভূমিতে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে না?

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *