আজ রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় বন্দি মুক্তির দাবিতে নেতানিয়াহুর দলের সদর দফতরের সামনে ইজরায়েলীদের বিক্ষোভ

গাজায় বন্দিদের মুক্তির দাবিতে নেতানিয়াহুর দলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ

Channel IR ডেস্ক |

[তারিখ] – ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সদর দফতরের সামনে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছে, গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, যারা সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট

গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা নয়। ২০০৬ সালে গিলাদ শালিত নামের এক ইসরায়েলি সেনাকে হামাস বন্দি করলে, দীর্ঘ আলোচনা ও বিনিময়ের মাধ্যমে ২০১১ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, যেখানে বিনিময়ে ১,০২৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছিল।

বর্তমান পরিস্থিতির সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাস পরিচালিত এক সামরিক অভিযানের পর বহু ইসরায়েলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিক গাজায় বন্দি হয়। এর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, যা হাজার হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটিয়েছে এবং মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

গাজায় হত্যাযজ্ঞ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে প্রায় ৫০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে, ২০২৫ সালের এপ্রিলের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সংখ্যা প্রায় ৬২,৬১৪-এ পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী, শিশু এবং বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।

বিক্ষোভের কারণ ও প্রতিক্রিয়া

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকার গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা দ্রুত একটি বন্দিবিনিময় চুক্তির দাবি জানিয়েছে, যাতে আটক ব্যক্তিরা নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর সরকার বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। একদিকে পরিবারগুলো সরকারের বিরুদ্ধে সরব, অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।

তবে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় উপায়েই বন্দিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অগ্রগতি হয়নি।

(সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা)

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *