
Channel IR | আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
তারিখ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বাদগিস, নিমরুজ ও ফারাহ প্রদেশে ৪ জন হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান কার্যকর করেছে তালিবান সরকার। আফগান নাগরিকগণ এ বিধান কার্যকরের বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করেছেন। তবে স্বভাবগতভাবে এ বিধান প্রয়োগের বিরোধিতা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে আমেরিকার মদদপুষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ।
আপনার ব্যবসার জন্য হালাল উপায়ে যেকোনো ধরণের
ডিজাইন, ভিডিও, এনিমেশন, ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, অ্যাপ তৈরি করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগ এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে, এমনকি এই বিধানের বাস্তবায়ন বন্ধের জন্য তারা তালিবান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের বিবৃতিকে অন্যায্য ও বিভ্রান্তিকর বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আদালতের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রশিদ হাফিযাহুল্লাহ।
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, আফগানিস্তানের শরিয়াহ, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কোনও বহিরাগত সত্ত্বার নেই। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীগণ নিরীহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে, তাদের পরিবারকে শোকাহত করেছে, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
তিনি জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এটি আমাদের বিশ্বাস, আমাদের আইনি কাঠামো এবং আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা। মহান আল্লাহর নাযিলকৃত এ আইন ও ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা অসংখ্য ত্যাগ স্বীকার করেছি। ইসলামই চূড়ান্ত সত্য এবং এটি মেনে চলা আমাদের কর্তব্য।”
অনস্বীকার্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার পুনর্গঠনের পর আফগানিস্তানে ইসলামি বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা আফগানিস্তানের নাগরিক ও সারাবিশ্বের মুসলমানগণ সাদরে গ্রহণ করেছেন।