
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এক ফেসবুক পোস্টে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামকে একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের ‘প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহারের দাবি করা হয়। এ দাবিকে ‘মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো এক বিবৃতিতে নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এ ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্যের সমালোচনা করেন।

হেফাজতের অবস্থান স্পষ্ট
বিবৃতিতে মুহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, “হেফাজত কখনো কোনো দলের ‘প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। হাজি শরীয়তুল্লাহ ও শহিদ তিতুমীর পূর্ব বাংলায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদী জমিদারগিরির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে পথ দেখিয়েছিলেন, সেই পথেরই উত্তরসূরি শাপলার চেতনা।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৩ সালে দিল্লির আধিপত্যবাদী পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রীয় মদদে ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র করেছিল শাহবাগী ফ্যাসিবাদ। তারই প্রতিবাদে শাপলা চত্বরে গিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। সেই সময়কার সরকার হেফাজতের ন্যায্য দাবি তোয়াক্কা না করে উল্টো বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল। সেই গণহত্যার সমর্থন যুগিয়েছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ।”
শাপলা চত্বরের ঘটনা ও শহিদদের স্মরণ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাপলা চত্বরের অনুপ্রেরণায় ৭৭ জনেরও বেশি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহিদ হন। শাহবাগীরা সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী অবস্থানে থেকেছে, পক্ষান্তরে শাপলার চেতনা বাংলাদেশপন্থি।”
তিনি বলেন, “শাহবাগীরা আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্ট এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এখনো তারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো প্রতিবিপ্লবী ষড়যন্ত্র রুখে দেব।”
এই বিবৃতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।