
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
ঈদের উৎসবে পৌত্তলিকতার সংমিশ্রণ: সতর্ক থাকার আহ্বান
ঈদ মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি খাঁটি দ্বীনি উৎসব ও ইবাদাতের অংশ। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ঈদের আনন্দ উদযাপনের নামে পৌত্তলিকতার মিশ্রণ ঘটানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ইসলামি আদর্শের পরিপন্থী বলে মনে করছেন অনেক আলেম ও বিশ্লেষক।
মুফতি সাইফুল ইসলাম তার এক লেখায় বলেন, ঈদ উৎসব এসেছে মক্কার পৌত্তলিকতার চিহ্ন মুছে ফেলতে। অথচ আজকের সমাজে সেই ঈদেই পৌত্তলিকতার অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ঈদের উৎসবে ইসলামবিরোধী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ রোধ করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঈদের আনন্দ মিছিল বাঙালি মুসলিম সমাজের সংস্কৃতি হতে পারে, তবে সেখানে পৌত্তলিকতার কোনো স্থান থাকা উচিত নয়। মূর্তি বা আল্লাহর অবাধ্যতার চর্চা কোনোভাবেই ইসলামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী সমাজের মূল চেতনা হলো তাওহীদ বা একত্ববাদ। সেখানে অন্য কোনো মতাদর্শ বা বিশ্বাসের সংমিশ্রণ ইসলামি মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। ইসলামী স্কলারদের মতে, যারা ঈদের উৎসবে ভিন্নধর্মীয় রীতি সংযুক্ত করছে, তারা মূলত ইসলাম থেকে বিচ্যুত একটি প্রবণতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে কিছু ইসলামী পরিভাষার শব্দ ও ধারণা ধীরে ধীরে বিকৃত হয়েছে। শহীদ মিনার এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলা হয়, একসময় ‘শহীদ’ ও ‘মিনার’ ইসলামী পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে এতে এমন উপাদান যুক্ত হয়েছে, যা ইসলামের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
মুফতি সাইফুল ইসলাম সতর্ক করে বলেন, ইসলামি সংস্কৃতিকে বিকৃত করার এই প্রবণতা নতুন কিছু নয়। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু ইসলামপন্থী নামে পরিচিত গোষ্ঠী আসলে “কমিউনিস্ট ভাবধারায়” পরিচালিত, যারা ইসলামি সমাজ ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে চায়।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের মতো পবিত্র উৎসবে যেন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও অনুশীলন অক্ষুণ্ণ থাকে, সে বিষয়ে মুসলিম সমাজকে সজাগ থাকতে হবে।