
যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রদেশে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে, যা দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক আগ্রাসনকে আরও তীব্র করেছে। এই হামলাগুলোকে সানার ফিলিস্তিনি-পন্থী অভিযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সানা প্রদেশে হামলা:
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মার্কিন যুদ্ধবিমান সানা প্রদেশের বানি হুশাইশ এবং সানহান জেলায় ১১টি বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মা’রিব প্রদেশে হামলা:
একই দিনে মা’রিব প্রদেশের মাজ্জার এবং জাওবা জেলায় ১৩টি বিমান হামলা পরিচালিত হয়। এই হামলাগুলো হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল-হুদাইদাহ প্রদেশে হামলা:
পশ্চিম ইয়েমেনের আল-হুদাইদাহ প্রদেশের কামারান দ্বীপে চারটি বিমান হামলা চালানো হয়। এই হামলায় দ্বীপের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি:
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক সক্ষমতা, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইউনিটগুলোকে ধ্বংস করা। তারা আরও জানায়, হুথি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল, যা এই হামলার অন্যতম কারণ।
হুথি প্রতিক্রিয়া:
হুথি মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মার্কিন আক্রমণের ‘যথাযথ জবাব’ দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, হুথি বাহিনী একটি মার্কিন MQ-9 ড্রোন মা’রিব প্রদেশের আকাশে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাগুলোর পর ইয়েমেনে সামরিক কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ দেশটির মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।