
ডেস্ক রিপোর্ট | Channel IR
ইমারতে ইসলামিয়ার পর সিরিয়া থেকেও মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, উদ্বিগ্ন ইসরায়েল
আফগানিস্তানের পর সিরিয়া থেকেও সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দখলদার ইসরায়েল।
সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের প্রথম ধাপ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দশ দিন আগে প্রথম সেনা বহরটি ঘাঁটি ছেড়ে যায়। ১৬ এপ্রিল, বুধবার রাতে ২০০-রও বেশি সামরিক যান ইরবিলের উদ্দেশ্যে ঘাঁটি ত্যাগ করে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন, এটি একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য প্রক্রিয়া। তবে এক শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এটি পূর্ণ নয়, বরং আংশিক প্রত্যাহার হবে এবং মার্কিন সেনা উপস্থিতি ধরে রাখার জন্য এখনো প্রচেষ্টা চলছে।
তেলআবিব আশঙ্কা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে তুরস্ক সিরিয়ায় নিজের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে। এর ফলে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং তুরস্ক-ইসরায়েল উত্তেজনার আশঙ্কা করছে দখলদার দেশটি।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার কনেকো ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেলিপ্যাড, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও ব্রাডলি যুদ্ধযান মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমরা সিরিয়ায় নেই, ওটা ওদের নিজেদের ঝামেলা।”