
Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট | আরাকান আর্মির জলকেলি উৎসব বাংলাদেশের ভেতরে: রাষ্ট্রীয় নীরবতায় ক্ষুব্ধ জনগণ

বাংলাদেশের ভেতরে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার ভিতরে সশস্ত্র আরাকান আর্মির প্রকাশ্য ‘জলকেলি উৎসব’ ঘিরে দেশজুড়ে উঠেছে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ। প্রশ্ন উঠছে— বিদ্রোহী এক বাহিনী কীভাবে অনুপ্রবেশ করে দিবালোকে উৎসব করতে পারে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকে?

ছবিতে দেখা গেছে, আরাকান আর্মির সদস্যরা ইউনিফর্ম পরে, অস্ত্র হাতে নিয়ে উল্লাস করছে। পাশে দাঁড়িয়ে বিজিবি সদস্যকে ছবি তুলতে দেখা গেছে, এবং কয়েকজনকে আরাম করে “গেন্ডারী” খেতে দেখা গেছে— যা জনমনে বিরক্তি ও উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
দেশের জনগণ বলছে, যারা দেশের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়— সেই তাওহীদি জনতাকে ‘জঙ্গি’ বলে গ্রেফতার, গুম আর কারাগারে বন্দি করা হয়। অথচ যারা প্রকাশ্যে দেশের সীমান্ত লঙ্ঘন করে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই। বরং নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরাকান আর্মির এ উপস্থিতি নিছক একটি অনুপ্রবেশ নয়। এটা হতে পারে ভবিষ্যতের বড় দখল পরিকল্পনার সূচনা। আজ যদি তারা আরাকান দখল করে, কাল পার্বত্য চট্টগ্রামও টার্গেট হতে পারে।
এমন বাস্তবতায় অনেকেই বলছেন, সরকার যদি নিজেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে দেশের যুব সমাজকে সামরিক ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশের মাটি রক্ষায় জনগণই তখন সামনে আসবে।
Channel IR স্পষ্ট করে বলতে চায়: নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ নয়— দমন করুন প্রকৃত হুমকি, অস্ত্রধারী আগ্রাসীদের। না হলে সামনে যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।
Channel IR ডেস্ক | সত্য বলব সাহসের সঙ্গে
