আজ বুধবার ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানের কৃষিতে বরকতময় ফলন, একবছরের সফলতা তুলে ধরলেন তালেবান সরকার


📰 Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
📅 তারিখ: ৪ আগস্ট ২০২৫
🖊️ প্রতিবেদক: Channel IR প্রতিনিধি

আফগানিস্তানে কৃষিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি: তালেবান সরকারের একবছরের সফলতা তুলে ধরলেন মন্ত্রীগণ

তালেবান সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর দেশের কৃষি ও পশুপালন খাতে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছে কৃষি, সেচ ও পশুপালন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলরা এই সাফল্যের পরিসংখ্যান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাওলানা সদরআজম উসমানী বলেন, “গত এক বছরে কৃষি, পশুপালন, সেচ, বন সংরক্ষণ, গবেষণা, গ্রীনহাউস নির্মাণ, পানি সংরক্ষণ বাঁধ, সার-বীজ বিতরণ, ও কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে শত শত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।” তিনি জানান, সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন ও কৃষকের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন।

সেচ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মাওলানা বাজ মুহাম্মাদ ফাইজান জানান, বন উজাড় রোধ, চেকড্যাম নির্মাণ, অনাবাদি জমি উন্নয়ন, এবং সেচ খাল পুনর্নির্মাণের মতো নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আর্থিক ও প্রশাসনিক উপমন্ত্রী মাওলানা আগা জান আখুন্দ (হাজী সালেম) জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গম সংগ্রহ, উশর আদায়, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ, এবং তরুণদের সরকারি নিয়োগে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

ভূমি বিভাগের মহাপরিচালক মাওলানা আব্দুল আলী উমরী উল্লেখ করেন, “হাজার হাজার জেরিব জমি পুনরুদ্ধার করে ইজারা ও বিনিয়োগের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন ৩০টি জেলার জন্য জমি বরাদ্দ এবং ২৫০টির বেশি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।”

মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশজ অর্থায়নে মোট ৩৯০টি প্রকল্পে ৭৬৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। ৪০টি উন্নত জাতের শস্য উদ্ভাবন করে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
অন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে:

  • ৭০,১৪১ মেট্রিক টন গম বিতরণ
  • ৩৬,২০০ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ
  • ৩২৫ জেরিব নতুন ফলের বাগান
  • ৪৯টি গ্রীনহাউস নির্মাণ
  • ৭৫ হাজার মেট্রিক টন উন্নত সার-বীজ বিতরণ
  • ৪০৫ হাজার গাভীর কৃত্রিম প্রজনন
  • ২০ মিলিয়নের বেশি পশুর চিকিৎসা

সংবাদ সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা বলেন, গম-স্বনির্ভরতা অর্জন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বন উজাড় রোধ, ও মাদক চাষের বিকল্প উন্নয়ন নিয়েও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

📌 Channel IR মন্তব্য:
আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশে কৃষি খাতে এই ধরনের সাফল্য প্রশংসনীয়। আন্তর্জাতিক দাতাদের উচিত হবে এই ধরনের আত্মনির্ভর কর্মকাণ্ডে কার্যকর সহায়তা বাড়ানো।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *