
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
পাকিস্তানের আকস্মিক প্রতিরোধে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য ভারত
ইসলামাবাদ, ১১ মে:
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আকস্মিক প্রতিরোধ দিল্লিকে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধ্য করেছে। শনিবার রাতে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতির পেছনে ছিল পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ মিসাইল ও রকেট হামলার তীব্রতা, যা ভারতের সামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাত হানে এবং দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করে দেয়।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যুদ্ধ সাংবাদিক নিক রবার্টসন জানিয়েছেন, ভারতের বিমানঘাঁটিতে হামলার পর পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তান একের পর এক মিসাইল ও রকেট নিক্ষেপ করে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্র গুদাম এবং রাডার স্থাপনার ওপর। রবার্টসনের মতে, এই হামলা এতটাই হঠাৎ ও তীব্র ছিল যে, ভারত হতবাক হয়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করে।
রবার্টসন আরও জানান, একটি কূটনৈতিক সূত্র তাকে জানিয়েছে, পাকিস্তান প্রথমে আলোচনার সুযোগ দিতে চাইলেও ভারতের আকস্মিক হামলার কারণে তারা প্রতিরোধে বাধ্য হয়। ফলস্বরূপ, ইসলামাবাদ অত্যাধুনিক মিসাইল ও রকেট প্রযুক্তি দিয়ে শক্তিশালী জবাব দেয়। ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ তৈরি হয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সৌদি আরব ও তুরস্কের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়।
রবার্টসনের ভাষ্য অনুযায়ী, “এখন যুদ্ধবিরতি না হলে আর কখনোই সম্ভব নয়”—এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৭ মে ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই পাকিস্তান তার সামরিক ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করে, যার ফলে ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমানসহ মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে যায়।
Channel IR ডেস্ক থেকে জানাচ্ছি, এই যুদ্ধবিরতি কতটা স্থায়ী হয়, তা নির্ভর করছে উভয় দেশের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থানের ওপর। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় আবারো যুদ্ধের আগুন ছড়াতে দিল্লির একপাক্ষিক আগ্রাসনই যে মূল কারণ, তা আন্তর্জাতিক মহলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।