
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট
তুরস্কের ‘সোনগার’ ড্রোনে পাকিস্তানের ভারতে লাগাতার হামলা, দিশেহারা ভারতীয় প্রতিরক্ষা
ডেস্ক রিপোর্ট | Channel IR
গত দু’দিন ধরে ভারতের জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাত সীমান্তে লাগাতার ড্রোন হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এসব হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে তুরস্কে তৈরি ভয়ংকর সামরিক ড্রোন ‘অ্যাসিসগার্ড সোনগার’। হামলার ভয়াবহতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে হতচকিত হয়ে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আঙ্কারার ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি এই ড্রোনগুলো মূলত কোয়াডকপ্টার টাইপ— চারটি রাউটার সংবলিত। স্বল্প উচ্চতায় ঘাপটি মেরে ওড়ার ক্ষমতা রাখে বলে এ ধরনের ড্রোন শনাক্ত করাও কঠিন। এটি স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়েল— উভয় মোডেই পরিচালিত হয়।
তথ্য অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলি ‘সোয়ার্ম’ বা ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিটি ড্রোনে সংযুক্ত আছে মেশিনগান, ক্ষেপণাস্ত্র ও মর্টার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান থেকে আসা ৪০০ ড্রোন ভারত সফলভাবে ধ্বংস করেছে। ফরেনসিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে, এগুলো ছিল তুরস্কের অ্যাসিসগার্ডের তৈরি ‘সোনগার’ ড্রোন।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ড্রোন ২০১৯ সালে তুর্কি সেনার হাতে হস্তান্তর করা হয় এবং ২০২০ থেকে পূর্ণমাত্রায় সামরিক ব্যবহারে আসে। প্রতিটি ড্রোনের ওজন প্রায় ৪৫ কেজি, উড়তে পারে টানা ৩৫ মিনিট এবং সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩০০০ মিটার। ড্রোনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে— যেমন ৫.৫৬ মিমি অ্যাসল্ট রাইফেল, ৪০ মিমি গ্রেনেড লঞ্চার ও ৮১ মিমি মর্টার গ্রিপারসহ আরও ভয়ংকর সংস্করণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড্রোনগুলোর টেলিমেট্রি এবং ইমেজ ট্রান্সমিশন ক্ষমতা অত্যাধুনিক গোয়েন্দাগিরিতে সহায়ক। GPS ও GLONASS সিস্টেম ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোনগুলো।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিদেশ মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সামরিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ভারতের পক্ষ থেকে কড়া কূটনৈতিক বার্তা পাঠানো হয়েছে।
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট | ১০ মে, ২০২৫