
Reporter: আরিফুল ইসলাম
Channel IR | ডেস্ক রিপোর্ট
শিরোনাম:
“আলেমদের মুক্তির প্রশ্নে নিরবতা কেন? — হেফাজতের কিছু নেতার দ্বৈত ভূমিকার প্রশ্ন তুলছে ইসলামপ্রিয় জনতা”
ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশের কারাবন্দী শত শত আলেম আজও অন্যায়ভাবে বন্দি থাকলেও, তাদের মুক্তির প্রশ্নে দায়িত্বশীল সংলাপের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না—এমনটাই অভিযোগ উঠেছে হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতার বিরুদ্ধে।
যেখানে রাজনৈতিক সংলাপের জন্য তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় রয়েছে, সেখানে জেলবন্দী নির্দোষ আলেমদের মুক্তির বিষয়ে তারা বলছেন, “মজলুমদের মুক্তির ঠিকাদারি আমরা নেইনি।”
এই বক্তব্যে বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।
অনেকেই বলছেন—মজলুমের আর্তনাদ কখনও বিফলে যায় না, আর ইতিহাস তার সাক্ষী যে, জুলুমের দায় যারা বহন করে না, নীরব সমর্থন দিয়েও তারা রেহাই পায় না।
বিশিষ্ট আলেম ও লেখক, ঐতিহাসিক উপন্যাস “আঁধার রাতের বন্দিনী”-এর লেখক,
সাইয়্যিদুনা ক্বারী সিদ্দিকুর রহমান শায়খে জারিয়া (রহ.)-এর খলিফা,
মাওলানা আমীরুল ইসলাম হাফিযাহুল্লাহ সহ বহু নির্দোষ আলেম আজ মৃত্যুর সেলে।
৭০ বছর বয়সী এই প্রবীণ আলেম ছিলেন:
- জামিয়া আনওয়ারীয়া বরমী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক,
- জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাওনা চৌরাস্তার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক।
তাঁর মতো শত শত আলেম আজও আটক রয়েছেন বানোয়াট, শাক্ষীবিহীন ও ভিত্তিহীন মামলায়।
অভিযোগ উঠেছে—তথাকথিত ‘খুনী হাসিনার পুতুল বিচারকদের’ একতরফা রায়ে তাদের বন্দি রাখা হয়েছে।
এই অবস্থায় ইসলামপ্রিয় জনতা প্রশ্ন রাখছে—
আলেমদের পক্ষে কথা বলবে কে?
আর কতকাল এই অবিচার চলবে?
মজলুমদের কান্না কি আর কানে পৌঁছায় না তথাকথিত নেতাদের?
Channel IR ডেস্ক থেকে আমরা বলছি—
এটি শুধুই বিচারহীনতার প্রমাণ নয়, বরং ইতিহাসের কাছে চরম দায়বদ্ধতার এক অমোচনীয় কলঙ্ক।
