
Channel IR ডেস্ক রিপোর্ট | কুয়েট ইস্যু | ২০২৫
“ন্যায় বিচার চাওয়ায় শাস্তি, অনশনে কুয়েট ছাত্ররা জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে”
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এক গভীর সংকটে। ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় যেখানেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে উল্টো নিরপরাধ ৪২ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করে দিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি বহিষ্কার করা হয়েছে একাধিক শিক্ষার্থীকে, যাদের অনেকেই কোনো সহিংসতায় জড়িত ছিলেন না।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আমরণ অনশনে বসে আছে। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, কেউবা রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। চোখের সামনে বন্ধুর নিস্তেজ শরীর পড়ে থাকতে দেখছে আর একেকজন—তারপরও থামছে না প্রতিবাদ।
ছাত্রদের দাবি একটাই—ন্যায়বিচার। আর প্রশাসনের অবস্থান? সম্পূর্ণ নীরব।
ইন্টেরিম সরকার, যারা দেশের ভার নিয়েছে, তাদের কেউ এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ইউনুস, যিনি মানবিক মুখোশে রাজনীতি করে যাচ্ছেন, এখন ব্যস্ত তার পশ্চিমা প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে।
সরকার পক্ষ থেকে এসেছে মাত্র একটি বিবৃতি—যা পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে ছুঁতেই পারেনি।
বিরোধী কণ্ঠগুলো, শাহবাগী ব্যানারে পরিচিত যুলকারনাইন সায়েররাও এখন চুপ। অথচ তারাই একসময় বনশ্রীর তিন তরুণকে ধরতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। এখন? এখন তাদের কণ্ঠে স্তব্ধতা।
মানবাধিকার, ন্যায়বিচার—সবকিছু যেন আজ শব্দমাত্র।
একবার কল্পনা করুন—এই অনশনে বসা ছেলেগুলো যদি আপনার ভাই, বন্ধু বা সন্তান হতো?
তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে, চোখের নিচে কালি, শরীর কাপছে, তবুও মুখে একটাই কথা: “আমরা ন্যায় চাই।”
এটা কেবল কুয়েটের সংকট নয়। এটা আমাদের রাষ্ট্রের বিবেকের সংকট।
Channel IR, ডেস্ক রিপোর্ট।